এডিসের লার্ভা ধ্বংসে রাজউকের নিয়মিত অভিযান

এডিসের লার্ভা ধ্বংসে রাজউকের নিয়মিত অভিযান

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বুধবারও বিভিন্ন হাসপাতালে তিন শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।

এদিকে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তাদের পাশাপাশি নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

ঢাকার সিটি করপোরেশন বলছে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ লার্ভাই পাওয়া যাচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনে। ২৫ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে ওয়াসার মিটারে। বাকিগুলো পাওয়া যাচ্ছে টব, টায়ার এবং ডাবের খোসার মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিসে।

সিটি করপোরেশনের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এডিসের লার্ভা ধ্বংসে মাঠে নেমেছে রাজউক। বর্তমানে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।

অভিযান প্রসঙ্গে রাজউক পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন জানিয়েছে, এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং নির্মাণ ব্যত্যয় তদারকি করতে রাজউকের আওতাধীন আটটি জোনে ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ ১৯টি টিম পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজউকের অভিযানে ৭টি ভবন মালিককে সাড়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এসব জরিমানা করা হচ্ছে। ভবন নির্মাণ তদারকি ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

গতকালের অভিযান বিষয়ে মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৫টি নির্মিত ও ২১টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে রাজউকের টিম। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৮টি নির্মিত ও ৪২টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করা হয়। এতে বিভিন্ন অসঙ্গতির জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩টি ভবনের মালিককে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি জানান, পরিদর্শন কার্যক্রম চলাকালীন এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে মশার সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থলগুলো ভবন মালিক বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির মাধ্যমে পরিষ্কার করানো হয়। এ সময় ব্লিচিং পাউডার, স্প্রে এবং কেরোসিন তেল ছিটানোর পাশাপাশি ভবনের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন